চাঁদপুরে আ.লীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা
চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাবাজি, চাকরিতে প্রতিবন্ধকতা ও মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক কলেজ শিক্ষক।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাবাজি, চাকরিতে প্রতিবন্ধকতা ও মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক কলেজ শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশের সিআইডি বিভাগকে।
আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস, বালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ড. মীজানুর রহমান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ বাবর বেপারী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জাহাঙ্গীর হোসাইন উল্লেখ করেন, ভিন্ন রাজনৈতিক মতের কারণে সুজিত রায় নন্দী ও সহযোগীরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কলেজ ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করেন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করান। সে মামলায় তিনি কারাবরণ করলেও পরবর্তীতে খালাস পান। তবে ওই মামলা দেখিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করাতে নানা প্রভাব খাটানো হয়।
তিনি আরও জানান, চাকরি রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করলে আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আসামিরা তাকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছেন।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘২০১৬ সালে কলেজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এতে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিয়েছি’।
এমবি এইচআর