যে খামারে হেলমেট পরে মাছ ধরেন জেলেরা
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার এসএস মৎস্য ফার্ম (মাছের খামার) যেন ভিন্ন এক জগৎ। এখানে মাছ ধরতে জেলেদের মাথায় পরতে হয় হেলমেট। জেলেরা জানিয়েছেন, জালে ধরা পরলে মাছগুলো লাফিয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার এসএস মৎস্য ফার্ম (মাছের খামার) যেন ভিন্ন এক জগৎ। এখানে মাছ ধরতে জেলেদের মাথায় পরতে হয় হেলমেট। জেলেরা জানিয়েছেন, জালে ধরা পরলে মাছগুলো লাফিয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলার যুগিশো গ্রামের এসএস মৎস্য ফার্মের মালিক গোলাম সাকলায়েনের অন্তত ৫ হাজার বিঘা জমির ওপর রয়েছে ১৮০টি পুকুর। এই খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার কেজি রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ বাজারজাত করা হয়। খামারের একেকটি মাছের ওজন ৫-১৫ কেজি। স্থানীয় বাজারসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য মাছ পাঠানো হয়।
মাছের খামারের ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের ব্যবসার বয়স প্রায় ৩০ বছর। আগে আমরা ছোট মাছ চাষ করেছি।
জেলে রহিদুল ইসলাম বলেন, আগে হেলমেট পরতাম না। মাছের আঘাতে আমার একটি দাঁত ভেঙে গেছে। এরপর আমাদের ফার্মের মালিক আমাদের হেলমেট কিনে দিয়েছেন। এরপর থেকে আমরা মাছ ধরার কাজে হেলমেট ব্যবহার করি।
জেলে রাব্বি জানান, মাছ ধরার সময় কখন কী ঘটে তা বলা যায় না। মাছগুলো এত বড় ও শক্তিশালী যে, জালে ধরার সময় লাফিয়ে আঘাত করে। তাই আমরা নিরাপত্তার জন্য হেলমেট ব্যবহার করি।
এসএস মৎস্য ফার্মের মালিক গোলাম সাকলায়েন বলেন, আমি নিজেও একসময় মাছ ধরতাম। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে মাছ ধরার সময় একটি রুই মাছ আমার নাকের ওপর আঘাত করেছিল। অনেক ব্লিডিং হয়েছিল,পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল।
সাকলায়েন বলেন, কিছুদিন আগে আমার এক কর্মচারী মাছ ধরতে গিয়ে বুকে আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর মাছের আঘাত থেকে কিভাবে সুরক্ষা পাওয়া যায়, তা চিন্তাভাবনা করে আমরা কর্মচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে হেলমেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করি। এ সময় বিদেশে মাছ রপ্তানির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারে প্রতি আহ্বান জানান তিনি।