মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাবজেলে প্রেরণ
মেঘনাবার্তা প্রতিনিধি: মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন সকাল আটটার দিকে। পরে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে ‘বাংলাদেশ জেল-প্রিজন ভ্যান’ লেখা সবুজ রঙের গাড়িতে করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে নেওয়া হয়।
গুম, অপহরণ ও নির্যাতনের দুটি এবং ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে ২৮ জনকে হত্যার মামলাসহ মোট তিন মামলায় এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কর্নেল ও মেজর জেনারেল পর্যায়ের কয়েকজন।
এই মামলাগুলোর অন্য ১৭ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সাবেক কয়েকজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়েছেন।
আদালত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন,“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ল অব দ্য ল্যান্ডের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছে। আসামিদের আদালতে হাজির করতে তারা আমাদের পূর্ণ সহায়তা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,“আজ যাঁরা হাজির হয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের বিষয়টি আদালতই নির্ধারণ করেছে। আইন অনুযায়ী তাঁদের অবস্থান নির্ধারিত হবে।”
আইনজীবীদের দাবি, ‘তাঁরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন’
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন বলেন,“১৫ জন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা সেনা সদর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসেছেন। কেউ পালায়নি, কেউ গ্রেপ্তারও নয়।”
তিনি আরও জানান, তাঁদের জামিন আবেদন করা হয়েছে এবং সেনানিবাসের সাবজেলে রাখার নির্দেশ থাকতে পারে।
গত ৮ অক্টোবর এই মামলাগুলোর ৩৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ১৫ জনকে হাজির করা হয়েছে। আগামী ৫ ও ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমবি/এসআর
