জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত ১৫
মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালানোর সময় জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালানোর সময় জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৭ জন জেলেকে আটক করেছে প্রশাসন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার সীমান্তবর্তী বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, মা ইলিশ আহরণ বন্ধে ভোলা সদর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর এবং চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় যৌথ অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত আটটি দলে মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় হিজলা এলাকায় ইলিশ শিকারিদের আটক করতে গেলে একটি সংঘবদ্ধ জেলে চক্র প্রশাসনের ওপর হামলা চালায়। তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কর্মকর্তাদের আহত করে।
হামলায় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দিন, স্পিডবোট চালক জহিরুল ইসলামসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। এর মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিজলার মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা হচ্ছিল। খবর পেয়ে চার জেলার সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসাধু জেলেরা আমাদের টিমের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। পরে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।”
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মসিউর রহমান জানান, তার সঙ্গে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) তাজবীউল ইসলামসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা এখন নিরাপদ আছি। আটক জেলেদের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসন জানিয়েছে, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে এমন হামলা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে নদীপথে টহল ও নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
এমবি এইচআর