উপদেষ্টারা ''সেইফ এক্সিট'' করতে চাইলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : ডা. সায়ন্থ

Sep 15, 2025 - 12:21
 0  1
উপদেষ্টারা ''সেইফ এক্সিট'' করতে চাইলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : ডা. সায়ন্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেছেন, যদি এই দেশকে রক্ষা করতে চায়, দেশের গণতন্ত্রের যে উত্তরণ সেটা যদি সুসংহত করতে চায়, যদি এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নিজেরা নিরাপদে এক্সিট করতে চান, যদি দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে না চান, যদি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে চান— তাহলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন হতেই হবে।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারের তরফ থেকে এতটা জোরালোভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে এতদূর এগিয়ে আসার পর যদি দেশে নির্বাচন না হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সেটি একটি অস্বাভাবিক অবস্থা নিঃসন্দেহে।

দেশে কোনো রকম অস্বাভাবিক অবস্থা এলে তার সুযোগ ফ্যাসিবাদীগোষ্ঠী নেবে। কারণ ওই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিটা তৈরি হবে সরকার ভার্সেস কোনো এক বা একাধিক পলিটিক্যাল পার্টি অথবা পলিটিক্যাল পার্টি ভার্সেস পলিটিক্যাল পার্টি। যে কনফ্লিক্টটা তৈরি হবে সেই কনফ্লিক্টটা শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গৃহযুদ্ধ হলো যুদ্ধটা গৃহের ভেতরে হবে না।
গৃহে গৃহে হলে তখন ওই দুই গৃহের মাঝখানটা আর নিরাপদ থাকে না। 

তিনি বলেন, দেশে এ রকম একটা পরিস্থিতি বিরাজ করলে তার মধ্যে পতিত ফ্যাসিবাদের গোষ্ঠী যারা এখন চুপচাপ আছে, ঘাপটি মেরে আছে, তারা নেমে পড়বে। তাদের নেত্রী ওই নির্দেশ দেওয়ার জন্য স্ক্রিপ্ট লিখে রেখেছেন। তারা যদি নেমে পড়ে, তাহলে এ দেশে এই রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো যারা গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বা অরাজনৈতিক গোষ্ঠীও যারা গণ-অভ্যুত্থানে যুক্ত ছিল তারা, যারা এই সরকার গঠন করে নেতৃত্ব দিয়ে এত দূর এগিয়ে এনেছে তারা— এরা কেউ নিরাপদ থাকবে না।

এই সরকারের উপদেষ্টাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হলেও নির্বাচন দিতে হবে। কারণ তাদের এই ফ্যাসিবাদীগোষ্ঠী আস্ত রাখবে না।

সায়ন্থ আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশকে, সারা পৃথিবীকে থ্রি জিরোতে নিয়ে আসতে চান। বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর দারিদ্র্য দূর করতে চান।

শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। এই চাওয়া তো অন্যায় না। এই চাওয়া অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কিছু অলংকার যোগ করতে হয়। ঠিক তেমনি বাংলাদেশে ঐকমত্য কমিশনের যে আলোচনা সেটার সঙ্গে তিনি কথা বলতে গিয়ে হয়তো আলংকারিক কিছু শব্দ যোগ করেছেন। এই যদি, কিন্তু— সে রকমই কিছু শব্দ। প্রথম অংশে বলেছেন যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, শুধু হবে না, হতেই হবে— দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ অ্যাট অল, হতেই হবে।
এমবি/এসআর