‘মার্কিন গোয়েন্দা সহায়তায়’ রুশ জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেইন

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো — বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও অন্যান্য অনুষঙ্গ স্থাপনায় দূরপাল্লার হামলা চালাতে গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে।

Oct 12, 2025 - 19:24
 0  1
‘মার্কিন গোয়েন্দা সহায়তায়’ রুশ জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেইন
ছবি, সংগৃহিত

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামো — বিশেষ করে তেল শোধনাগার ও অন্যান্য অনুষঙ্গ স্থাপনায় দূরপাল্লার হামলা চালাতে গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে। এই সহায়তায় রুট পরিকল্পনা, উচ্চতা, সময় ও লক্ষ্যস্থলের দুর্বলতা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

রয়ট্টার্সসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও সংবাদটি independently রিপোর্ট করেছে এবং জানানো হয়েছে যে ওয়াশিংটন একই ধরনের গোপনীয় গোয়েন্দা তথ্য ন্যাটো মিত্রদেরকেও শেয়ার করার পরামর্শ দিয়েছে এবং প্রয়োজনে কিইভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ওপর ভাবনা চলছে। এসব প্রচেষ্টার মুল উদ্দেশ্য হিসেবে আলোচিত হয়েছে—রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ সৃষ্টি করা। 

রাশিয়া বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে; মস্কো মন্তব্য করছে যে পশ্চিমা দেশগুলো নিয়মিতভাবেই কিইভকে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে এবং এমন সহায়তা যুদ্ধের মাত্রা বাড়াতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ক্রেমলিন সূত্রে এই ধরনের গোয়েন্দা শেয়ারিংকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। 

বিশ্লেষণগত প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে ইউক্রেইনীয় একক-যাত্রার ড্রোন ও দূরপাল্লার আঘাতকারী রকেট ব্যবহারে রাশিয়ার তেল-শোধন ক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি দেখা গেছে—ফলস্বরূপ রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ এবং রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে এবং অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত আমদানির চাপ পড়ছে। এটি কৌশলগতভাবে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে, পাশাপাশি উত্তপ্ত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরাসরি পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিতও দেয়।

এই ধরণের সহায়তার আন্তর্জাতিক ফলপ্রসুতা ও ঝুঁকি দুই দিকেই রয়েছে—একদিকে এটি রাশিয়ার যুদ্ধ সক্ষমতা দুর্বল করে কৌশলগত চাপ তৈরি করতে পারে; অন্যদিকে এটি সংঘাতকে এলাকা বিস্তৃত ও তীব্র করতে পারে, যা ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও ঘোরালো করে তুলবে এবং সরাসরি উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করবে।

শেষে উল্লেখ্য—এই প্রতিবেদনে যে তথ্যসমূহ তুলে ধরা হয়েছে তার বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক সংবাদ ভূতত্ত্ব ও একাধিক অনানুষ্ঠানিক সূত্রে এসেছে; সংশ্লিষ্ট পশ্চিমা ও রুশ সূত্রগুলোর আনুষ্ঠানিক মন্তব্য একই সঙ্গে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণে চলছে।

এমবি এইচআর