‘দেশে থাকলে শুধু ভণ্ডামি, এটাই শবনম ফারিয়ার আসল রূপ’
সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বিয়ে ও হানিমুন নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তবে তার হানিমুনে তোলা এক ছবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বিয়ে ও হানিমুন নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তবে তার হানিমুনে তোলা এক ছবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউয়ের মসজিদ আল মুস্তাফায় খেজুর বিতরণ করে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে তানজিম তৈয়বকে বিয়ে করেন শবনম ফারিয়া। তানজিম তৈয়ব দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের পর এ দম্পতি হানিমুনে যান শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে। সেখান থেকেই ফেসবুকে একাধিক ভ্রমণছবি শেয়ার করেন ফারিয়া। তবে এসব ছবির বেশিরভাগই এককভাবে তোলা; স্বামীর সঙ্গে কোনো ছবি তিনি প্রকাশ করেননি।
গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার গালে শহর থেকে হাফপ্যান্ট পরা একটি ছবি পোস্ট করার পরই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকে মন্তব্য করছেন, মসজিদে বিয়ে করে ধর্মীয় আবহ তৈরি করলেও হানিমুনে গিয়ে সেই ভাবমূর্তির বিপরীত আচরণ করেছেন তিনি।
ফেসবুকে অনেকেই তাকে “ভণ্ডামীকারী” ও “ভিউ ব্যবসায়ী” বলে কটাক্ষ করেছেন। কেউ লিখেছেন, “মসজিদে বিয়ে করে এখন বিদেশে হাফপ্যান্ট পরছেন—এটাই তার আসল রূপ।” আরেকজন লিখেছেন, “দেশে থাকলে শুধু ভণ্ডামি করে, বিদেশে গিয়ে নিজের চরিত্র প্রকাশ করেন।”
সমালোচকদের মধ্যে দীপ্ত ফয়সাল ভুইয়া লিখেছেন, “বিয়ে করলেন মসজিদে, হাফপ্যান্ট পরলেন শ্রীলঙ্কায়—আপনি আমার পছন্দের একজন ছিলেন, কিন্তু এমনটা আশা করিনি।”
খলিলুর রহমান মন্তব্য করেছেন, “বিদেশে গেলেই কাপড়ের অভাব হয়।”
ফরহাদ হোসেন মিলন লিখেছেন, “মসজিদে বিয়ে করে এখন আগের মতোই রয়ে গেলেন—আপনি মুসলিম নারীদের কলঙ্ক।”
তবে সমালোচনার পাশাপাশি অনেকেই বলেছেন, কারও ব্যক্তিগত জীবন ও পোশাকের পছন্দ নিয়ে অতিরিক্ত মন্তব্য করা অনুচিত। কেউ কেউ মনে করছেন, ফারিয়ার প্রতি এ ধরনের সামাজিক প্রতিক্রিয়া নারী শিল্পীদের প্রতি সমাজের দ্বৈত মানসিকতারই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, শবনম ফারিয়া এর আগে ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। বিয়ের এক বছর নয় মাস পর ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সেই সংসার ভেঙে যায়। প্রায় পাঁচ বছর পর এ অভিনেত্রী আবারও নতুন করে ঘর বাঁধেন।
এমবি এইচআর