খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: তদন্তে জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের কমিটি

খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় কমিটি গঠনের এই তথ্য জানান জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

Sep 30, 2025 - 17:03
 0  2
খাগড়াছড়িতে সহিংসতা: তদন্তে জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের কমিটি
ছবি-সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় কমিটি গঠনের এই তথ্য জানান জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

জেলা প্রশাসক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরাও বিভিন্ন অভিযোগ প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আজকে আমরা এখানে এসেছি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সমবেদনা জানানোর জন্য। আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তাদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা চিকিৎসাধীন রয়েছে আমরা তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিব।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অবরোধকারীদের সঙ্গে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। তাদের যে ৮ দফা রয়েছে তার মধ্যে আমরা সাতটা এড্রেস করেছি। আমরা চাই আলোচনার টেবিলে যেন বিষয়টির সমাধান হয়।’

তিনি বলেন, ‘তারা যে অবরোধ দিয়েছে সেটা প্রত্যাহার করলে আমরাও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করব।’

এ সময় পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘গুইমারায় সহিংসতায় যারা হতাহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে মামলা করার জন্য অনুরাধ করা হয়েছে। তারা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে।’

পরিদর্শনের সময় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ডাকা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। জেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে অবরোধ শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও অল্পসংখ্যক অটোরিকশা-ইজিবাইক চলাচল করছে। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও বহাল রয়েছে জেলার সদর ও গুইমারা উপজেলায়।

পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা এ অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালেই গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।

এমবি এইচআর