পলাতক অভিযুক্ত ৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা, ইন্টারপোল দিচ্ছে না রেড নোটিশে সাড়া
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন দলটির ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা। পলাতকদের মধ্যে আছেন ডিআইজি, এসপি থেকে শুরু করে একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন দলটির ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা। পলাতকদের মধ্যে আছেন ডিআইজি, এসপি থেকে শুরু করে একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের অনেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি শহরে সাবেক ডিআইজি হারুন অর রশিদের অবস্থানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে, সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান যুক্তরাজ্যে এবং প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম ভারতে অবস্থান করছেন।
তবে পলাতকদের দেশে ফেরানো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশের আবেদন করা হলেও সংস্থাটি এখনও কোনো সাড়া দেয়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত বা মানবাধিকার বিষয়ক জটিলতার কারণে ইন্টারপোল অনেক সময় রেড নোটিশ জারি করে না, যা প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে।
সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, কর্মস্থল ত্যাগ বা আত্মগোপন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কূটনৈতিক উদ্যোগ জরুরি। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১-এর ২৯ ধারা অনুযায়ী, এমন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিআইজি থেকে পরিদর্শক পর্যায়ের ৪০ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি বিতর্কিত ভূমিকার কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় আরও ৫৫ কর্মকর্তাকে।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং গুলির নির্দেশদাতাদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহলে চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি প্রশাসনে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমবি এইচআর