আরেকটি ১/১১-এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ফিরলে আমাদের কারো রক্ষা হবে না : রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন জোরালো হবে এবং এসব আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন জোরালো হবে এবং এসব আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন থাকবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান দাবি করেছেন, কিছু আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি করা হতে পারে। তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে এসে পুনরায় এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, তাহলে কাউকেই রক্ষা মিলবে না—এ ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে ততই বিভিন্ন দাবি-দাওয়ায় আন্দোলন তীব্র হবে বলে মন্তব্য করে রাশেদ খান সতর্ক করেন যে, খোলা চোখে এসব আন্দোলন সাধারণ চাকরিজীবী বা শিক্ষার্থীর দাবি বলে মনে হলেও অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এগুলোকে ব্যবহার করবে। তিনি এমন উদাহরণও তুলে ধরেন যেখানে আনসার সমাবেশের আড়ালে ছাত্রসংগঠনের সমাবেশ হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে।
রাশেদ খান আরও বলেন, আন্দোলনগুলোকে পরিকল্পনা করেই বিদেশি—বিশেষ করে ভারত ও স্থানীয় কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবহার করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করা হতে পারে। তাই সাধারণ আন্দোলনকারীদের এগুলো সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি দাবি করেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে হঠাৎ করে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেখা গেলে সেই আন্দোলন সহজেই স্বৈরাচারী ও অপব্যবহারের আশঙ্কায় পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য এবং জনস্বার্থে বাধা না সৃষ্টি করার জন্য আন্দোলনকারীদের দায়িত্বশীল হতে হবে, বলে রাশেদ খান বলেছেন।
রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, সরকারও যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিয়ে সমাধান করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তিনি বলেন, যদি সময়মত নির্বাচন না হয় তবে তা ১/১১ জাতীয় সংকটের মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং সেই সংকটে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে—যার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তারাও বিপদে পড়বেন।
তিনি সকলকে অনুরোধ করেন, যা বলা বা যা করা হবে তা ভেবেচিন্তে করতে হবে এবং আন্দোলনকে জনগণের স্বার্থে ধরে রাখতে হবে যাতে তা রাজনৈতিক কাজে ভপ্ত করা না যায়।
এমবি এইচআর