‘নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল আসলো বা আসলো না তা দেখার দায়িত্ব সরকারের নয়’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বা নেবে না—তা সরকারের নয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন চাই, সেটাই বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। আমরা মানুষকে জানাতে চাই—বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থার সূচনা হবে একটি ভালো নির্বাচন দিয়েই। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল বা করল না—এটা সরকারের বিষয় নয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বদ্ধপরিকর—একটি ভালো নির্বাচন দিয়েই দায়িত্ব হস্তান্তর করব। নির্বাচন কমিশন যেভাবে সহায়তা চাইবে, সরকার সে অনুযায়ী সহযোগিতা করবে।”
২০০৮ সালের পর অনেক ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অনেকের বয়স এখন ত্রিশের বেশি, কিন্তু জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেননি। অনেক তরুণ জানেন না ভোটকেন্দ্র কেমন দেখতে—এটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য দুঃখজনক বাস্তবতা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আপনি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারকে ভোটের বাইরে রাখেন, তাহলে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। শুধু অতীতের সরকারকে নয়, আমাদের সবাইকেই আত্মসমালোচনা করতে হবে।”
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিতে হবে। যেখানে যতটা সম্ভব উদার হওয়া যায়, সেখানে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে সক্ষম হবে।
এমবি এইচআর