আদালত সিদ্ধান্ত নেবে আসামিকে কোথায় রাখা হবে: তাজুল ইসলাম

আসামিকে আদালত যেখানে রাখার নির্দেশ দেবে, সেখানেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

Oct 13, 2025 - 18:57
 0  2
আদালত সিদ্ধান্ত নেবে আসামিকে কোথায় রাখা হবে: তাজুল ইসলাম
ছবি-সংগৃহিত

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ
আসামিকে আদালত যেখানে রাখার নির্দেশ দেবে, সেখানেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসামিকে আদালতে হাজির করতে হবে, এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে আসামিকে কোথায় রাখা হবে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, নির্দিষ্ট কোনো স্থাপনাকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। কোন জায়গাটিকে জেল ঘোষণা করা হবে বা প্রিজন কর্তৃপক্ষের আওতায় আনা হবে, তা সম্পূর্ণভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। প্রসিকিউশনের এখতিয়ার কেবল আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, “কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা তামিল করবে। কিন্তু সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। আইন অনুযায়ী আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করতে হবে। আদালত যদি আদেশ দেন তাকে কারাগারে পাঠানোর, তাহলে সরকার ঘোষিত যেকোনো স্থাপনাই কারাগার হিসেবে বিবেচিত হবে।”

তাজুল ইসলাম বলেন, “সংবিধান, আইসিটি আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি—সব জায়গাতেই স্পষ্টভাবে বলা আছে, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করতে হবে। এরপর আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে, আসামিকে কোথায় রাখা হবে।”

এর আগে রোববার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর দিকের ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’-কে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আসামিদের আগামী ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে ২৫ জন সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

এমবি এইচআর