১০১ টাকার ইনজেকশন ১২৯৯ টাকায় ক্রয়: অনিয়মের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে দুদক
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের প্রাথমিক ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের প্রাথমিক ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দুদক।
রোববার দুপুরে হাসপাতালে অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান।
সম্প্রতি হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এতে দেখা যায়, পেনটোথাল সোডিয়াম ইনজেকশন প্রতিটি ক্রয় করা হয়েছে ১২৯৯ টাকায়; যার সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১০১ টাকা।
এ নিয়ে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব নেতারা পক্ষে-বিপক্ষে নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তখন ড্যাবের কুমিল্লা মহানগর, জেলা ও হাসপাতাল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সমালোচনা হয়েছে।
এর মধ্যে দুদকের একটি দল হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় তারা পরিচালকের কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিপত্র, ওষুধের মজুদ এবং কেনাকাটা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা হাসপাতালের পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজের কাছে আরও নথি তলব করেছেন।
অভিযান শেষে নিজের কার্যালয়ে দুদক উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, “তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবহিত করা হবে এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন করা হবে।”
এমবি এইচআর