ছাত্ররাজনীতির মডেল “শিবির” তা দেখিয়ে দিয়েছে : সাদিক কায়েম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, গত এক বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির আদর্শ মডেল তৈরি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

Oct 13, 2025 - 17:06
 0  1
ছাত্ররাজনীতির মডেল “শিবির” তা দেখিয়ে দিয়েছে : সাদিক কায়েম
ছবি, সংগৃহিত

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, গত এক বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির আদর্শ মডেল তৈরি করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত শহীদ সাজিদ স্মৃতি আন্তবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাদিক কায়েম বলেন, শিবির পরিচয়কে অতীতে অপরাধমূলকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, অথচ একক সংগঠন হিসেবে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তাদের ছয়জন কর্মীর এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবু সংগঠনটি শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ ছাত্ররাজনীতির চর্চা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, শিবির সবসময় সৃজনশীলতাকে প্রমোট করে—কারণ সুন্দর সমাজ, সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ গঠনে সৃজনশীলতার ভূমিকা অপরিসীম। যৌক্তিক সমাজ গঠনে বিতর্কের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তিনির্ভর বিতর্কের মাধ্যমে সমাজের সমস্যা তুলে ধরা যায় এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তার বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৬ বছর গণমাধ্যম, সিভিল সমাজ ও কিছু ব্যবসায়ী শ্রেণি সমাজকে বিভ্রান্তির পথে ঠেলে দিয়েছে এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর নির্যাতন চালানোর বৈধতা তৈরি করা হয়েছিল। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীও এতে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।

সাদিক কায়েম বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে, তবে এর আগে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যেখানে শিবিরের কর্মীদের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল।

গুম কমিশনের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেন, দেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত ও শিবির, এবং একক সংগঠন হিসেবে বিএনপির পরই শিবিরের অবস্থান।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়েছিল, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের আতুরঘর, যেখানে মুক্তভাবে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞানউৎপাদন হওয়া উচিত—যা সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. বিলাল হোসাইন। তিনি বলেন, বিতর্ক শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞাননির্ভর ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক নুরুল্লাহ, শহীদ সাজিদের বোন ফারজানা হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শহীদ একরামুল হক সাজিদের স্মরণে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে ইতিহাস বিভাগ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

এমবি এইচআর