অপহরণের পাঁচ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে সুন্দরবন থেকে ফিরলেন সাত জেলে

অপহরণের পাঁচ দিন পর মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে সুন্দরবন থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাত জেলে।

Aug 30, 2025 - 16:25
 0  3
অপহরণের পাঁচ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে সুন্দরবন থেকে ফিরলেন সাত জেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি: অপহরণের পাঁচ দিন পর মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে সুন্দরবন থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাত জেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর বনদস্যুরা তাঁদের মুক্তি দেয়।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পারশেখালী গ্রামের মো. ইব্রাহিম ও আবদুল হামিদ সরদার, কালিঞ্চি গ্রামের সুজিত মুন্ডা, রকিবুল ইসলাম ও আবদুস সাত্তার গাজী এবং কৈখালী গ্রামের বুলবুল গাজী ও আরাফাত গাজী।

কালিঞ্চি গ্রামের জেলে আবদুস সাত্তার গাজী বলেন, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের দাঁড়গাং এলাকায় তাঁরা নৌকা মেরামত করছিলেন। তিন মাস বন্ধ থাকার পর আগামী সোমবার থেকে মাছ ও কাঁকড়া ধরার অনুমতি দেওয়া হবে। সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২৫ আগস্ট তাঁদের দাঁড়গাং খালের পাশ থেকে সশস্ত্র একদল বনদস্যু অপহরণ করে।

পারশেখালী গ্রামের জেলে আবদুল হামিদ জানান, অপহরণের পর তাঁদের মালঞ্চ নদের বৈকারী এলাকায় একটি নৌকায় আটকে রাখা হয়। তিনি বলেন, প্রথমে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দাবি করে দস্যুরা। তিন মাস কাজ না থাকায় জেলেরা সামর্থ্যহীন ছিলেন। অনেক কাকুতি–মিনতির পর মাথাপিছু ৩৫ হাজার টাকা দিতে বলা হয়। গত বুধবার বিকাশে টাকা পাঠানোর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে তাঁদের একটি নৌকায় তুলে দেয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা লোকালয়ে ফেরেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপহৃত জেলেদের একজন বলেন, ছয় সদস্যের ওই দস্যু দল নিজেদের ‘কাজল বাহিনী’ পরিচয় দেয়। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র ছিল।

রমজাননগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে জেলেরা বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের বরাত দিয়ে বলা যায়, দস্যুরা মারধর করেনি। তবে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, নৌকা ঠিক করার সময় দস্যুরা তাঁদের অপহরণ করে। মৌসুম শুরুর আগেই স্মার্ট প্যাট্রল টিমসহ একাধিক দল টহল দিচ্ছে। তাঁরা একাধিক অভিযানও চালিয়েছেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, অপহরণ ও জেলেদের ফিরে আসার বিষয়ে কেউ তাঁদের জানাননি। সাধারণত জেলেরা নিজেরাই এসব গোপনে মিটিয়ে নেন। তবে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

এমবি/টিআই