জাকসু কোনো দলের না, ভোট চলবে: শিবির

ছাত্রদলসহ কয়েকটি বাম সংগঠন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আরিফুল্লাহ আদিব। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

Sep 11, 2025 - 19:19
 0  2
জাকসু কোনো দলের না, ভোট চলবে: শিবির
ছবি-সংগৃহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রদলসহ কয়েকটি বাম সংগঠন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আরিফুল্লাহ আদিব। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরিফুল্লাহ আদিব লিখেছেন, “ইতিহাসে নজির স্থাপন করলেন। এমন দলদাস শিক্ষক বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা যায়নি। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ছাত্রদল হেরে যাচ্ছে বলে দায়িত্বরত বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা দায়িত্ব বর্জন করেছেন। আমাদের ঘোষণা—জাকসু কোনো দলের না, এটা শিক্ষার্থীদের। ভোট চলবে, শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবে, ইনশাআল্লাহ।”

এর আগে, অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোট চলাকালীন সময়েই এ ঘোষণা আসে। ভোট গ্রহণ শেষে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্ট-সমর্থিত সংশপ্তক পর্ষদও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে যায়। সন্ধ্যায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যরাও।

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাকসুর এই নির্বাচন। এতে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলে মোট সাতটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো—ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল, ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’।

আংশিক প্যানেল দিয়েছে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। এছাড়া অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে লড়ছেন।

সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ৯ জন প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে লড়ছেন ১০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী।

এমবি/এইচআর