অস্ত্র মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিচার শুরু
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী এবং তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী এবং তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।
বুধবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫ এর বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন—আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ এবং আরাফাত ইবনে নাসির।
এদিন সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি মোল্লা মাসুদ ও শরীফকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে বক্তব্য দেন ঢাকার মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষ অব্যাহতির আবেদন জানায়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং আগামী ১৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ২৭ মে ভোরে কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে অপর দুই সহযোগী—শ্যুটার আরাফাত ও শরীফ—কে আটক করা হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। পরদিন, ২৮ মে হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা করে। তারা কুখ্যাত সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো, যারা খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর সুব্রত বাইন ২০২৩ সালের আগস্টে দেশে ফিরে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তার সহযোগীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করত বলেও তদন্তে জানা গেছে।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গত ১৩ জুলাই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এমবি এইচআর