বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির মেয়ে ভর্তি হলেন পোষ্য কোটায়, সমালোচনার ঝড়

Sep 22, 2025 - 17:19
 0  2
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির মেয়ে ভর্তি হলেন পোষ্য কোটায়, সমালোচনার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৩২ হাজার সিরিয়ালে অবস্থান করা সত্ত্বেও পোষ্য কোটার সুবিধায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের কন্যা। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মাত্র ৪০ নম্বর অর্জন করে তিনি প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হন।

পরবর্তীতে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদে স্থানান্তরিত হন। অথচ চলতি বছর ওই অনুষদে মেধা তালিকার সর্বোচ্চ ৫০৩৫ ক্রম পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পোষ্য কোটার মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন তিনজন শিক্ষার্থী। উপাচার্যের মেয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৩৯.৫০) এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (প্রাপ্ত নম্বর ৫৩.৫০) একই কোটায় জীববিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন কোটার সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ২১ জন।

গত বছর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি উঠলেও সেটি কার্যকর হয়নি। বরং এ বছর উপাচার্যের নিজের সন্তানকে কোটায় ভর্তি করানোয় নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তির যোগ্য না হন, তবে কেন তাকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হলো? একইসঙ্গে তারা জানতে চাইছেন— দরিদ্র কৃষক বা সাধারণ পরিবারের সন্তানদের জন্য কেন এই ধরণের সুযোগ রাখা হয় না?

এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, নিয়ম মেনেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই নির্ধারিত কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে বাড়তি সুবিধা পাননি।

চলতি বছর কোটায় ভর্তি হওয়া বাকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে—
‘এ’ ইউনিটে: প্রতিবন্ধী কোটায় ৩ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন।
‘বি’ ইউনিটে: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ জন।
‘সি’ ইউনিটে: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ২ জন, বিকেএসপি ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ১ জন, হরিজন ও দলিত ১ জন, প্রতিবন্ধী ১ জন।

এমবি/এসআর