নরসিংদীতে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইদন মিয়া (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইদন মিয়া (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জানা যায়, বহিষ্কৃত সদস্যসচিব কাইয়ুমের গ্রুপে আছেন নরসিংদী সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নায়েব আলী।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির উভয় গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী রয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর উভয়গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় বিভাজন তৈরি হয়।
জানা যায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন, দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার একই কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া পরস্পর বিরোধে জড়ান। পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও তারা পৃথকভাবে পালন করেন। বিরোধের ধারাবাহিকতায় উভয়গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ লাভ করে।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বিএনপির বহিষ্কৃত সদস্য সচিবে কাইয়ুমের নেতৃত্বে মুরাদনগর গ্রামে অস্ত্র, ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে হামলা চালায়। হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব কাইয়ুম মিয়াকে কল দেওয়া হলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নরসিংদী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এমবি এইচআর