কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, এটি হত্যাকাণ্ড।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪০) এবং তাদের মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২২)। সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. মহিনুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত তাহমিনা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কালিয়াজুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। এক বছর আগে তার স্বামী নুরুল ইসলাম মারা যান। তার বড় ছেলে আলামিন আহমেদ একজন আইনজীবী, তিনি ঢাকা থাকেন এবং ছোট ছেলে ফয়সাল আহমেদ কুমিল্লা ইপিজেডের একটি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। ফয়সালের স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। মাঝেমধ্যে কুমিল্লায় আসা যাওয়া করত।
নিহতের ছেলে ফয়সাল বলেন, শুক্রবার তিনি ঢাকায় যান তার স্ত্রীর কাছে। রোববার রাতে তিনি কুমিল্লায় ফিরেন। বাড়িতে এসে তার মা-বোনকে দরজা খোলার জন্য দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করলেও সাড়া না দেয়ায় দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। ঘরের ভিতর থেকে একটি ছোট টেবিলের সাহায্যে দরজা লাগানো ছিল। ধাক্কা দেয়াতে দরজাটি খুলে যায়। পরে ভিতরে গিয়ে দুইকক্ষে দুজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে জানায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, নিহতের ছেলে ফয়সাল রাত ২টার সময় ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহতদের গলায় কিছুটা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে আমরা বিষয়টা তদন্ত করছি এবং রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে আলামতে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। পরিষ্কার কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।
এমবি/টিআই