পুলিশি অভিযানে সুন্দরবনের ৩ জলদস্যু গ্রেপ্তার, উদ্ধার ২ জেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু কাজল-মুন্না বাহিনীর তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতের বিভিন্ন সময়ে যশোর জেলার অভয়নগর থানার গোবিন্দপুর ও আড়পাড়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সুব্রত মল্লিক (৪৩), বিপ্লব রায় (৩২) ও লক্ষণ বিশ্বাস (৭২)। এ সময় আটকদের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সুন্দরবনে অবস্থানরত জলদস্যুদের হাতে জিম্মি দুই জেলে আব্দুস সালাম (২৫) ও বিজয় ধীবরকে (২৭) উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আব্দুস সালাম শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের নুর হোসেন ও বিজয় ধীবর ভেটখালী নুতনঘেরি গ্রামের হরেকৃষ্ট ধীবরের ছেলে।

এর আগে দুই জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সোমবার শ্যামনগর থানায় মামলা করেন স্থানীয় রমজাননগর ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ। জলদস্যু পরিচয়ে ৯ জন অস্ত্রধারী গত ৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের পায়রাটুনি খাল থেকে জিম্মি করার ঘটনায় অজ্ঞাত নামীয় নয়জনকে আসামি করে ওই মামলা করা হয়।

ভুক্তোভোগী জেলেদের বরাত দিয়ে আব্দুল হামিদ জানান, বনবিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে সুন্দরবনে যায় রমজাননগর ইউনিয়নের ছয় জেলে। দুপুরের দিকে পায়রাটুনি খালে পৌছানোর পর কাজল-মুন্না বাহিনীর পরিচয়ে ওয়েজকুরুনি, বিজয় ধীবর, আব্দুস সালাম ও আব্দুল মজিদকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট একটি বিকাশ নম্বরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে একদিন পরে দুজনকে জিম্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় সোমবার তিনি শ্যামনগর থানায় মামলা করেন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মামলা দায়েরের পর প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে আদায় করা মুক্তিপণের ৭৪ হাজার, নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বরের সিম ও ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বিশদ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মুক্তিপণের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হয় বলে তথ্য মিলেছে। উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। আটক তিনজনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমবি/টিআই