পর্যটকহীন সেন্টমার্টিনে ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম ধস
মেঘনাবার্তা প্রতিনিধি: নিরিবিলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ ফাঁকা, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ, সৈকত জনশূন্য। কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে দুটি জাহাজ প্রশাসন অনুমোদন দিলেও গত এক সপ্তাহে কোনো জাহাজ চলেনি, ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ও দ্বীপবাসির আর্থিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।
দ্বীপবাসীর অভিযোগ, পরিবেশ রক্ষার নামে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগে চার মাসের পর্যটন মৌসুমে আয় করেই সারাবছর চলতো, এখন কেবল দুই মাসের আয়েই জীবিকা চালাতে হচ্ছে। অনেকে সংসার চালাতে না পেরে দ্বীপ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
দ্বীপের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, “জেটিঘাটে আমার দুই দোকান আছে। কর্মচারী তিনজন। এখন ভাড়া দিতে পারছি না, চলতে কষ্ট হচ্ছে। শুধু আমি না, হোটেল-রেস্তোরাঁর সব মালিকই লোকসানে।”
ইজিবাইক চালক মো: রহিম যোগ করেন, “পর্যটক না আসায় সারাদিন গাড়ি চালালেও আয় হচ্ছে না, ব্যাটারি চার্জের বিলও উঠছে না। এখানকার মানুষ স্থানীয়, পর্যটক না আসলে আয় নেই।”
দ্বীপের হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি এম এ রহিম জিহাদী বলেন, “নভেম্বরে পর্যটক যেতে পারবে, থাকতে পারবে না। ফলে দ্বীপবাসীর আয়ের প্রধান উৎসও বন্ধ।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, দ্বীপের ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা জীবিকা ও খাদ্য সংকটে রূপ নিতে পারে।
দ্বীপ তথ্য: সেন্টমার্টিনের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার, বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার। পর্যটনের স্থবিরতা এখন দ্বীপকে নীরবতা ও উদ্বেগে ঘেরা রেখেছে।
এমবি/এসআর
