ফল না দেওয়ায় রাবি আরবি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আররি বিভাগের পরীক্ষার ৩ মাস পার হলেও রেজাল্ট না দেওয়ায় অফিস, ক্লাসরুম এবং সেমিনারে তালা দিয়েছে বিভাগের চতুর্থবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আররি বিভাগের পরীক্ষার ৩ মাস পার হলেও রেজাল্ট না দেওয়ায় অফিস, ক্লাসরুম এবং সেমিনারে তালা দিয়েছে বিভাগের চতুর্থবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ সময় রেজাল্ট না দেওয়া পযর্ন্ত বিভাগে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এদিকে বিভাগের ক্লাসরুম ও অফিসে তালা থাকায় শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারছেন না বলে জানান বিভাগের অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিলেবাস অনুযায়ী আরবি বিভাগের চতুর্থবর্ষের প্রথম সেমিস্টারে বিএআর-৪১০৪ ‘সাইন্স অফ ট্রানসলেশন’ কোর্সে বিভাগের দুজন শিক্ষক অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন এবং অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসঊদ আছেন।
পরীক্ষা কমিটির তথ্য মতে, এ সেমিস্টারে প্রায় সব শিক্ষক তাদের নম্বর দিয়েছেন কিন্তু এ কোর্সে দুজন শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন পরীক্ষা নম্বর জমা দিলেও বাকি একজন শিক্ষক জমা দেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসঊদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জাানান, ‘রেজাল্ট নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করতেছে। এর আগে ২৫ আগস্ট রেজাল্টের জন্য বিভাগে তালা দেওয়া হয় পরে শিক্ষকদের মৌখিক আশ্বাসে তালা খোলা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রেজাল্ট দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে বিভাগের সভাপতি একটি কাগজ নেওয়ার জন্য অফিসের তালা খোলার অনুরোধ করেছিলেন। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত, ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত বিভাগে শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।’
বিভাগের চতুর্থবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আরবী বিভাগে অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একজন সম্মানিত শিক্ষক একটা কোর্সের মার্ক না পাওয়া আমরা রেজাল্ট দিতে পারছি না। আজকে ওনার কোর্সের নম্বর দেওয়ার কথা। আমরা নাম্বারটা পেলে রেজাল্ট দিতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামকে ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে মিটিংয়ে ছিলাম যেতে পারিনি। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে সরাসরি কথা বলব।’
এমবি/টিআই