বিজয়ী হয়ে যা বললেন সাদিক-ফরহাদ
যেকোনো দল, মত ও আদর্শের যেই থাকুক, সবাইকে নিয়েই একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে বিজয়ী আবু সাদিক কায়েম। একই প্যানেল থেকে জিএস পদে বিজয়ী এস এম ফরহাদ বলেছেন, এটি ব্যক্তি ফরহাদের বিজয় নয়, শিক্ষার্থীদের বিজয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক: যেকোনো দল, মত ও আদর্শের যেই থাকুক, সবাইকে নিয়েই একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে বিজয়ী আবু সাদিক কায়েম। একই প্যানেল থেকে জিএস পদে বিজয়ী এস এম ফরহাদ বলেছেন, এটি ব্যক্তি ফরহাদের বিজয় নয়, শিক্ষার্থীদের বিজয়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাকসু ভোটের ফল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক প্রতিক্রিয়ায় তারা এ কথা বলেন।
এসময় সাদিক কায়েম বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের কাছে আমানত রেখেছে, সেটি রক্ষা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয় এই ডাকসু নির্বাচন। ভিন্ন দল, মত ও আদর্শের যেই থাকুক সবাইকে নিয়েই একসঙ্গে কাজ করা হবে।
ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আমার দিক থেকে ব্যক্তিগত অবজারভেশন হচ্ছে জিএস হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের বিজয়।
তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর আমানত আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে। যে কয়দিন দায়িত্বে থাকব, সে কয়দিন যদি ভুল কিছু করি তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেন শুধরে দেন।’
এসময় তাদের প্যানেল জয়ী হওয়া উপলক্ষে কোনো বিজয় মিছিল করবে না বলেও জানান ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ফরহাদ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে শিবিরের নেতা মো. আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের আব্দুল কাদের ১ হাজার ১০৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পর্ষদের তাসনিম আফরোজ ইমি পেয়েছেন ৬৮ ভোট।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বিজয়ী ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের শেখ তানভীর বারি হামিম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এরপর প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী ৪ হাজার ৪৪ ভোট এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের আবু বাকের মজুমদার পেয়েছেন ২ হাজার ১৩১ ভোট।
এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে শিবিরের মুহা. মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট, ছাত্রদলের তানভীর আল হাদী মায়েদ ৫ হাজার ৬৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমীদ আল মুদাসসীর পেয়েছেন ৩ হাজার ৮ ভোট। আর প্রতিরোধ পর্ষদের জাবির আহমেদ জুবেল পেয়েছেন ১ হাজার ৫১১ ভোট। এ ছাড়া মহিউদ্দিন রনি ১ হাজার ১৩৭, আশরেফা খাতুন ৯০০, আশিকুর রহমাস জিম ৭৯৬ ও হাসিব আল ইসলাম ৫২০ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা (১০ হাজার ৬৩১ ভোট), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার (৭ হাজার ৮৩৩ ভোট), আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম (৯ হাজার ৭০৬ ভোট ), ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ (৯ হাজার ৬১ ভোট), ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন (৭ হাজার ২৫৫ ভোট), কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে ছালমা (৯ হাজার ৯২০ ভোট), মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া (১১ হাজার ৭৪৭), স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ (৭ হাজার ৩৮ ভোট) এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম (৯ হাজার ৩৪৪ ভোট) বিজয়ী হয়েছেন।
শিবিরের প্যানেলের বাইরে সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবাইর বিন নেছারী (৭ হাজার ৬০৮ ভোট), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (৭ হাজার ৭৮২ ভোট) এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি (১১ হাজার ৭০৮ ভোট) বিজয়ী হয়েছেন।
এমবি এইচআর