লেবাননে শান্তিরক্ষী পাঠানোর বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট সোমবার
‘এই মুহূর্তে অথবা খুব দ্রুত ইউনিফিল-এর ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা, এই অঞ্চলের কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ লেবাননে নীল হেলমেট শান্তিরক্ষা মিশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সোমবার ভোট হবে। যদিও যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল এর বিরোধিতা করছে।
জাতিসঙ্ঘ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
কাউন্সিল ফ্রান্সের তৈরি করা একটি খসড়া সমঝোতা প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবে, যা ১৯৭৮ সালে ইসরাইল ও লেবাননকে আলাদা করার জন্য মোতায়েন করা লেবাননে জাতিসঙ্ঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউনিফিল)-কে আরো এক বছরের জন্য বহাল রাখবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এটি প্রত্যাহারের প্রস্তুতি না নিচ্ছে।
এএফপির দেখা সর্বশেষ খসড়ায়, ‘দক্ষিণ লেবাননে দেশটির সরকারের নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে একমাত্র নিরাপত্তা প্রদানকারী ইউনিফিল প্রত্যাহারের বিষয়ে কাজ করার ইচ্ছার’ ইঙ্গিত দেবে কাউন্সিল।
ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যুদ্ধবিরতির অধীনে, দক্ষিণ লেবাননে বৈরুতের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে এবং সেখানে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর অবকাঠামো ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
এই মাসে মন্ত্রিসভা সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দেয়ায় জটিল সমস্যায় ভুগছে লেবানন।
যুদ্ধবিরতির অধীনে ইসরাইলকে লেবানন থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার কথা ছিল। তবে তারা কৌশলগত বলে মনে করা বেশ ক’টি এলাকায় তাদের বাহিনী রেখে যায় এবং লেবাননজুড়ে হামলা চালিয়ে যায়।
প্রস্তাবটি ৩১ আগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত বাহিনীর ম্যান্ডেট বাড়িয়ে দেবে।
নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রদানকারী ওয়াশিংটন আপোষের ভাষা গ্রহণ করবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র পূর্বে এএফপিকে বলেন, তারা কাউন্সিলের আলোচনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না।
লেখাটিতে ‘লেবাননে জাতিসঙ্ঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী এবং বাহিনীকে প্রভাবিত করে এমন সব ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে, এসব ঘটনায় বেশ ক’জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন’- ভাষাটি মার্কিন মিত্র ইসরাইলের ইউনিফিলের অবস্থানগুলোয় তাদের বাহিনীর আহত এবং ক্ষতি করেছে এমন হামলার উল্লেখ করেছে। তবে এতে ইসরাইলের নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ভোটের আগে জাতিসঙ্ঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যেকোনো আকস্মিক প্রত্যাহারকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করে সতর্ক করেছেন, ‘এই মুহূর্তে অথবা খুব দ্রুত ইউনিফিল-এর ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা, এই অঞ্চলের কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ইউনিফিল ১২০টি স্থানে ৮ হাজার ৩০০ লেবানিজ সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্য মোতায়েনের সুবিধা দিয়েছে এবং তাদের রসদ, তহবিল এমনকি জ্বালানি ও প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদান করেছে।
জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক গত সপ্তাহে লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রতি বাহিনীর সমর্থনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন, আরো বলেছেন, ‘আমরা সর্বদা অনুভব করেছি এবং জানি যে ইউনিফিল হল নীল রেখা বরাবর স্থিতিশীলতার উপস্থিতি।’
এমবি এইচআর
