ইউক্রেনকে ১৫০ গ্রিপেন-ই যুদ্ধবিমান দিচ্ছে সুইডেন, ন্যাটো ইতিহাসে প্রথম বড় সরবরাহ চুক্তি

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ

রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সর্বাধুনিক গ্রিপেন-ই যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটোর নতুন সদস্য রাষ্ট্র সুইডেন। ইউরোপীয় নিরাপত্তা জোরদারে এই উদ্যোগকে “গেম চেঞ্জার” হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।

বুধবার দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত বিমান সরবরাহের মূল্য ও সময়সূচি নির্ধারিত হয়নি, তবে চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেন সর্বোচ্চ ১৫০টি গ্রিপেন-ই যুদ্ধবিমান পাবে বলে জানা গেছে।

গ্রিপেন-ই মডেলটি সুইডেনের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, যা রক্ষণাবেক্ষণে তুলনামূলকভাবে কম খরচসাপেক্ষ এবং এমনকি কাঁচা মাটির রানওয়ে বা সড়কেও পরিচালনা করা যায়। এতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত সেন্সর, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি। প্রতিটি বিমানে ১০টি অস্ত্র বহনের পয়েন্ট রয়েছে, যা দিয়ে একযোগে আকাশ ও ভূমি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

জেলেনস্কি এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেন,

“আমরা ইউক্রেন ও সুইডেনের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু করছি। এটি কেবল দ্বিপাক্ষিক নয়, ইউরোপের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ।”

অন্যদিকে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টারসন বলেন,

“এই বিমানগুলো ইউক্রেন, সুইডেন এবং ইউরোপ — তিন পক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করবে।”

রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধস নেমেছে। বর্তমানে দেশটির বিমানবাহিনী সোভিয়েত আমলের পুরোনো জেট দিয়েই প্রতিরক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমা মিত্ররা কিছু এফ-১৬ ও মিরাজ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করলেও তা রুশ বিমানবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধে যথেষ্ট নয় বলে বিশ্লেষকদের মত।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর দীর্ঘদিনের জোট-বিরোধী নীতি ত্যাগ করে ২০২৪ সালে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

এমবি এইচআর