পুলিশ সদস্যকে গুলির পর মহেশখালীর পাহাড়ে অভিযান, ডাকাত দলের আস্তানা ধ্বংস

কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী।

Sep 11, 2025 - 18:38
 0  2
পুলিশ সদস্যকে গুলির পর মহেশখালীর পাহাড়ে অভিযান, ডাকাত দলের আস্তানা ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিনিধি: কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালারমার ছড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এতে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গতকাল বুধবার টহলরত তিন পুলিশ সদস্যকে গুলির পর এ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী, তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।

উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে চারটি এলজি (লোকাল গান), তিনটি একনলা বন্দুক ও তিনটি দেশি শটগান। এসব অস্ত্র দুর্গম পাহাড়েই তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হতো বলে জানিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে ডাকাত দলের আস্তানা হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ‘টংঘর’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান। এতে নৌবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের অন্তত ২৫০ সদস্য অংশ নেন। পরে দুপুরে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, গত কয়েক মাসে মহেশখালীতে একাধিক হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ এলাকার নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় মহেশখালীর তারেক বাহিনী, বাবু বাহিনী, রাসেল বাহিনী, রশিদ বাহিনীসহ আরও কয়েকটি ডাকাত বাহিনী জড়িত। এসব বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সবকিছু বিবেচনা করে মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে।

পাহাড় থেকে অস্ত্র তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয় বলে উল্লেখ করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘মহেশখালীতে অসংখ্য চিংড়ি ঘের ও লবণ উৎপাদনের ঘোনা রয়েছে। এসব দখল-বেদখল নিয়ে সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই থাকে। ডাকাত-সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দুর্গম পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে অবস্থান করে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ কারখানায় অস্ত্র তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। কিছুদিন আগেও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে সাতটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল র‌্যাব।

এমবি/টিআই