রেলের জমি দখল করে টিকে গ্রুপের স্থাপনা

Sep 29, 2025 - 12:09
 0  2
রেলের জমি দখল করে টিকে গ্রুপের স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বড় কুমিরা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলের কয়েক কোটি টাকার জমি দখল ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টিকে গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী স্টিল মিলস এর বিরুদ্ধে। এমনকি মাদ্রাসা ও শহীদ মিনার উচ্ছেদের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চালাতে গেলে হামলা চালায় কর্ণফুলী স্টিল মিলসের দোসররা।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে সীতাকুণ্ডের কুমিরা স্টেশন এলাকায় রেল লাইনের পশ্চিম পাশে দুটি প্লটে ১ দশমিক ৩৩ একর জমি কর্ণফুলী স্টিল মিল লিমিটেডের নামে কৃষি লাইসেন্স ইস্যু করেন তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোবারক উল্যাহ।

রেল সূত্রে জানা যায়, কৃষি লিজের চুক্তিপত্রের ৪ নম্বর শর্ত অনুযায়ী উক্ত জমিতে কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোন কাজের জন্য ওই ভূমি ব্যবহার করা যাবে না। তবে শর্ত ভঙ্গ করে ওই জমিতে লেবার শেড নির্মাণ, পুকুর ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে থাকা একটি মাদ্রাসা, শহীদ মিনার উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদের অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, কুমিরা এলাকার প্রভাবশালী একটি বাহিনীকে ব্যবহার করে রেলওয়ে স্টেশনের আওতাধীন কোটি কোটি টাকার জমি দখলে নেয় টিকে গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি। তারা প্রকাশ্যে বেড়া দিয়ে মাটি ভরাট করে জায়গা দখল করে ফেলে। ফলে কলোনি থেকে সাধারণ মানুষ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না।

এ বিষয়ে জানতে টিকে গ্রুপের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. তারেক আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। কর্ণফুলী স্টিল মিলস লিমিটেডের জিএম মো. আব্দুল কাদের মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। 

এর আগে গত বছরের নভেম্বর জমি উদ্ধারে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গ্যার নেতৃত্বে জমি উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে হামলা চালায় কর্ণফুলী স্টিল ও তাদের সহযোগীরা।

তবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ফের অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উল করিম। তিনি বলেন, রেলের জমি অবৈধভাবে ব্যবহারের কোন সুযোগ নাই। কেউ ইজারা শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এমবি/এসআর