ভেনিজুয়েলা নিয়ে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া মুখোমুখি

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধি:
ভেনিজুয়েলার সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র—এমন খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মাদক ও সন্ত্রাস–সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড ভেঙে দেওয়া তাদের লক্ষ্য।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ‘কার্তেল দে লোস সোলেস’ নামের একটি শক্তিশালী মাদক চক্রকে ধ্বংস করা। অভিযোগ করা হয়েছে, এই কার্টেল প্রতিবছর প্রায় ৫০০ টন কোকেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পাচার করে। এতে সহযোগিতা করছে ভেনিজুয়েলার ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাং ও মেক্সিকোর সিনালোয়া কার্টেল।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র “সব ধরনের বিকল্প বিবেচনা করছে”, যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মাদক প্রবাহ রোধ ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত।

আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার উপকূলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ ও প্রায় ৪,৫০০ সেনা মোতায়েন করে। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০,০০০ সেনা এবং একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দুটি বি-৫২ বোমারু বিমান ভেনিজুয়েলা উপকূলের কাছে শক্তি প্রদর্শন মিশন সম্পন্ন করেছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তুতির কঠোর বিরোধিতা করেছে রাশিয়া। দেশটির সরকার বলেছে, ভেনিজুয়েলার সার্বভৌমত্বে কোনো আঘাত এলে তারা চুপ করে থাকবে না। ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাশিয়া ভেনিজুয়েলার জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে এবং যেকোনো বহিরাগত হুমকির মোকাবিলায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।

রাশিয়া ও কিউবা দীর্ঘদিন ধরে মাদুরো সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে লাতিন আমেরিকায় নতুন এক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এমবি এইচআর