ইসরায়েল থেকে তুরস্কে পৌঁছেছেন শহীদুল আলম
খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম অবশেষে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ইসরায়েল থেকে ছেড়ে আসা তুর্কিশ এয়ারলাইনসের TK 6921 ফ্লাইটে তিনি ইস্তাম্বুলে অবতরণ করেন।

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম অবশেষে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ইসরায়েল থেকে ছেড়ে আসা তুর্কিশ এয়ারলাইনসের TK 6921 ফ্লাইটে তিনি ইস্তাম্বুলে অবতরণ করেন। স্থানীয় সময় বিকেল আড়াইটার দিকে তার ফ্লাইটটি পৌঁছে বলে তুর্কি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহিদুল আলমের মুক্তি ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সকালে জানানো হয়, ইসরায়েলের কারাগারে আটক শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তুরস্কের সহায়তায় প্রচেষ্টা চলছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সময় আশা প্রকাশ করেছিল, শহিদুল আলমকে বিশেষ বিমানযোগে আঙ্কারায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অবৈধ আটকাদেশের পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত তুরস্ক, জর্ডান ও মিসর—এই তিন দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে।
শহিদুল আলম দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন আলোকচিত্রী। তিনি সম্প্রতি “ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন”–এর অংশ হিসেবে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নৌবহর অভিযানে যোগ দেন। ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার এই যাত্রায় নয়টি নৌযান অংশ নেয়, যার মধ্যে ছিল “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা” নামের উদ্যোগও।
গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী এই নৌবহরে হামলা চালিয়ে শহিদুল আলমসহ সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে। আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে তার মুক্তি নিশ্চিত হয় এবং তিনি তুরস্কে নিরাপদে পৌঁছান।
এমবি এইচআর