ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে ৮০ হাজার ভিসা বাতিল

মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় ৮০ হাজার নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বুধবার (৬ নভেম্বর) এক সিনিয়র স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানুয়ারির ২০ তারিখে ট্রাম্পের অভিষেকের পর থেকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হামলা এবং চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে এসব ভিসা বাতিল করা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন দমন নীতির অংশ, যার ফলে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী, এমনকি বৈধ ভিসাধারীরাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হয়েছেন।

প্রশাসন ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও কঠোরতা বাড়িয়েছে — সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম যাচাই এবং নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী,

• ১৬ হাজার ভিসা বাতিল হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে,

• ১২ হাজার ভিসা বাতিল হয়েছে হামলার ঘটনায়,

• এবং ৮ হাজার ভিসা বাতিল হয়েছে চুরির মামলায় জড়িত থাকার কারণে।

এই তিন ধরনের অপরাধই ২০২৫ সালের প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের পেছনের কারণ বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

এ ছাড়া গত আগস্টে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, তারা ৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে আইন ভঙ্গ বা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকার কারণে। এর মধ্যে কিছু ভিসা সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগেও বাতিল হয়।

গত মাসে বিভাগটি জানায়, রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করার কারণে অন্তত ছয়জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শত শত, এমনকি হাজার হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

এ বছর স্টেট ডিপার্টমেন্টের নতুন নির্দেশনায় কূটনীতিকদের সতর্ক করা হয়েছে, তারা যেন এমন আবেদনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকেন যারা মার্কিনবিরোধী বা রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন।

এ ছাড়া কর্মকর্তারা জানান, প্যালেস্টাইনের প্রতি সমর্থন বা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার কারণে শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারীদেরও দেশ ছাড়তে বা ভিসা বাতিলের ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। তাদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির জন্য “সম্ভাব্য হুমকি” হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এমবি এইচআর