অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ হবে কি না, স্পষ্ট করলেন ফয়েজ তৈয়্যব
অবৈধ আমদানিকারকদের একটি চক্র এনইআইআর বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
মেঘনাবার্তা প্রতিনিধিঃ
অবৈধ আমদানিকারকদের একটি চক্র এনইআইআর বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
তিনি জানান, দেশে ব্যবহৃত কোনো মোবাইল ফোন—তা বৈধ বা অবৈধ পথে কেনা হোক কিংবা বিদেশ থেকে আনা হোক—কোনোটিই বন্ধ হবে না। শুধুমাত্র আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পর নতুন করে অবৈধভাবে আমদানি হয়ে দেশে প্রবেশ করা হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে না। সাধারণ ব্যবহারকারীদের ফোন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি ডিবির হাতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের জিজ্ঞাসাবাদকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফয়েজ তৈয়্যবকে দায়ী করে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। তিনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে জানান, ওই ঘটনায় তার কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই অবৈধ আমদানিকারক ও স্মাগলার সিন্ডিকেট বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, হামলা ও কর্মচারীদের হুমকিসহ অপতৎপরতা শুরু করেছে। তাদের দাবি ও প্রচারণা সম্পূর্ণ অসত্য এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
ফয়েজ তৈয়্যব জানান, এসব অবৈধ চক্র সম্প্রতি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি শর্ত দিয়েছিলেন—দেশীয় ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে হামলা ও হুমকি বন্ধ করতে হবে এবং এনইআইআরবিরোধী সব কার্যক্রম থামাতে হবে। শর্ত মানতে রাজি না হওয়ায় তারা পরে আর যোগাযোগ করেনি। এরই মধ্যে ভুঁইফোঁড় পরিচয়ে নতুন সংগঠন বানিয়ে এনইআইআরবিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন সাংবাদিক কীভাবে ভুয়া পরিচয়ে চোরাচালানকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সাংবাদিকতার নীতির সঙ্গে এমন আচরণের কোনো সামঞ্জস্য নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেষে তিনি বলেন, বৈধ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও জনগণের স্বার্থে এনইআইআর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। পাশাপাশি মোবাইল আমদানির শুল্ক কাঠামো যৌক্তিক করার বিষয়টি এনবিআরের বিবেচনায় আনা হয়েছে, যাতে সাধারণ ভোক্তারা আরও সাশ্রয়ী দামে হ্যান্ডসেট পেতে পারেন।
এমবি এইচআর
