বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়: সালাহউদ্দীন
গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য ছিল অনেক। তাঁকে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেখার আগ্রহও ছিল অনেক দিনের। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়া হয় ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব থেকে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান সালাহউদ্দীন।

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য ছিল অনেক। তাঁকে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেখার আগ্রহও ছিল অনেক দিনের। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়া হয় ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব থেকে। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান সালাহউদ্দীন।
তবে সম্প্রতি দলের টানা ব্যর্থতায় ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নতুন একজন ব্যাটিং কোচ নেওয়ার কথাও আসছে। সালাহউদ্দীন বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? উত্তরে আজ কলম্বোতে সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দীন বলেছেন, ‘আমি কোচ। আমাকে যদি বলা হয় অনূর্ধ্ব-১৩ দলে গিয়ে কোচিং করাও, আমি কিছু মনে করব না। আমার ওখানে লেখা নেই যে আমি শুধু জাতীয় দলেরই কোচ। এগুলো নিয়ে আমার কোনো ইগোর সমস্যা নেই। এটা নিয়ে আমি চিন্তিতও না। কেউ যদি আসেও (ব্যাটিং কোচ), সেটিতে যেন দলের ভালো হয়।
এরপরই নিজের ভেতরে রাখা অভিমানও বেরিয়ে আসে সালাহউদ্দীনের, ‘বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। ভালো না করলে এখানে সমালোচনা হবেই। এটা আমাকে মেনে নিতেই হবে। ভালো করলে সবাই বাহবা দেবে। আমি আমার দলের জন্য শতভাগ দিচ্ছি কি না, সৎ কি না, সেটিই আমার কাছে মুখ্য বিষয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে টানা পাঁচ টি-টোয়েন্টি। দলের এমন খারাপ সময়ে অভিযোগ এসেছে, একাদশ গঠনে ও দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রভাব থাকে সালাহউদ্দীনের।
ওসব অভিযোগের যেন প্রমাণ দেওয়া হয়, এমন দাবি করেছেন সালাহউদ্দীন, ‘আজ ২৭-২৮ বছর কোচিং করার পর শুনছি, দল নিয়ে অনেক অভিযোগ, সেসব অভিযোগ একটু লিখে দিলে ভালো হতো। প্রমাণ দিলে ওই কোচের জন্য ভালো হতো এবং আমি যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমি শোধরাব। কিন্তু আমি জানি আমি কী। আমি ভালো কোচ না–ও হতে পারি। আমি যদি ভালো না হই, বোর্ড আমাকে সরিয়ে দিক, কোনো সমস্যা নেই। কেউ সৎ, নাকি অসৎ, এটা জেনে তার বিরুদ্ধে লেখা উচিত।
জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রধান কোচ ছিলেন সালাহউদ্দীন। কাজ করতেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে। জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে অন্য কাজ করবেন জানিয়ে সালাহউদ্দীন বলেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে অনেক শক্ত আছি, আমার এমন নয় যে এখানে চাকরি করতেই হবে। আমার অনেক কিছু করার আছে। এখানে আমি নিজের ইচ্ছায়ও আসিনি। আমি চাকরি চেয়েছি, এখানে চাকরি দেন।
এমবি/টিআই